
আম্মা বীরাঙ্গনা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী নিন্দিত নন্দন গ্রন্থে বলেছেন, “আমি তোমার মা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। আমি বীরাঙ্গনা। আমার চেতনার মহান মুক্তিযুদ্ধ সাক্ষ্য, আমার গর্ব মহান মুক্তিযুদ্ধ। যে একাত্তরে পাক হানাদারের লোলিহান জিহ্বার গনগনে আগুনে পুড়েছে আমার শরীর। আজও সেই সাপের বিষ লেগে আছে আমার সারা মুখে। যখনই চোখ বন্ধ করি একাত্তর ভেসে উঠে বলে স্মৃতিগুলো ঠিক তেমনই দুঃসহ। যুদ্ধের করাল গ্রাসে আমি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে চলেছি। মান মর্যাদা সম্ভ্রম লুট হয়ে চলেছে। যত্রতত্র যখন তখন। পাক হানাদার শেষ করেছে এদেশের সম্পদ, মা-বোনের সম্ভ্রম। তাদের দোসররা গ্রাম কে গ্রাম পথ দেখিয়ে সকল সহযোগিতা প্রদান করেছে। এদেশের মানুষ তারা অথচ আনুগত্যহীন, বিশ্বাসঘাতক। হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, মানবাধিকার লঙ্ঘিত যাবতীয় অপকীর্তিসহ সহযোগিতা করেছে শত্রুবাহিনীকে।”
আমাদের স্বাধীনতা-মুক্ত আকাশ-লাল সবুজের পতাকা পাওয়ার জন্য কত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। এত ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা কিছু মানুষের বিশ্বাসঘাতকতায় বড্ড বিপর্যস্ত। কারণ এদেশের আলো বাতাসে বেড়ে উঠা কিছু বেঈমান-বিশ্বাসঘাতকদের জন্য। এই বেঈমান বিশ্বাসঘাতকরা এখনও আমাদের মাঝে মিশে আছে। তারা আমাদের বাংলা মা, বাংলার মাটি, বাংলা ভাষা, লাল সবুজের পতাকা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আমার পিতা-ভাইয়ের রক্ত, যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা, ধর্ষিত মা-বোনের সাথে প্রতিনিয়ত প্রহসন করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ ইউজিসির গণশুনানী বনাম রাবির সম্মানহানি; মতামত বিশিষ্টজনদের
এই বাংলা মায়ের প্রকৃত দেশপ্রেমিক সন্তান কি কখনো স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে সাক্ষাৎ-মিশতে-চলতে পারে!! এত ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া বাংলায় কোন অনিয়ম-দূর্নীতি করতে পারে!! মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে কোন কিছু করতে পারে!!
অথচ আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের মুখোশের আড়ালে মিজান-সজল প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্বপ্রাপ্তরা স্বাধীনতা বিরোধী দলের নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের নিকট থেকে উৎকোচ নিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ও তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপির সাথে ঘনিষ্ঠতার সংবাদ গণমাধ্যমের ভাষ্যে জানতে পারি। এছাড়া জাতির জনকের ভাস্কর্য এবং শহীদ বুদ্ধিজীবি ভাস্কর্য নির্মাণে অনিয়ম ও নানা রকম দূর্নীতির সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকার প্রকাশিত হয়েছে। এসকল সংবাদ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়।
দৈনিক সংগ্রাম প্রত্রিকায় ১৩ জুলাই ২০১৩ তারিখে প্রকাশিত সংবাদ:
‘রমযানের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাবি ভিসিকে শিবিরের ক্যালেন্ডার উপহার’
“রাবি রিপোর্টার : পবিত্র মাহে রমযানের শুভেচ্ছা জানিয়ে গত বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মিজান উদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎ করে রমযানের তোহফা ও ক্যালেন্ডার উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাবি শাখার একটি প্রতিনিধি দল। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রশিবির রাবি শাখার সভাপতি মো: আশরাফুল আলম ইমনের পক্ষ থেকে ভিসির হাতে এ উপহার তুলে দেয়া হয়। রাবি শিবিরের তথ্য সম্পাদক হাসিবুল আলমের নেতৃত্বে সংগঠনটির বিভিন্ন আবাসিক হলের সভাপতিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। পরে ভিসি প্রতিনিধি দলের কাছে সংগঠনটির সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। এসময় তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য শিবির নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন। রাবি শিবিরের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকেও ভিসিকে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়। এছাড়া প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাসহ প্রশাসনিক ভবনের সকল কর্মকর্তাকে রমযানের শুভেচ্ছা ও ক্যালেন্ডার প্রদান করা হয়।”

২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ:
‘তিনটি ছবি ঘিরে রাবির শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা!’
“রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের প্লাটফর্ম সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক এনামুল হক। তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের চারজন সদস্য! যাদের সবাই সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মু. মিজানউদ্দীন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান সজলের ঘোর অনুসারী।
আরও পড়ুনঃ রাবির সাবেক প্রশাসনের (২০১৩-২০১৭) অনিয়ম ও দুর্নীতি; গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ
ছবিতে সাথে রয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী আরও তিন শিক্ষক। টেবিলে ছড়ানো-ছিটানো তাসের বান্ডিল এবং কক্ষের সাজ-সজ্জা দেখে স্পষ্ট- স্থানটি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি ভবন।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ ছবিগুলো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্টও করেন।
তারা বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাথে প্রগতিশীল শিক্ষকদের এ ধরনের ছবি নিয়ে সন্দেহ-সংশয় প্রকাশ করে আঁতাত করার অভিযোগ তুলছেন। তবে ছবিটি কবে বা কী উপলক্ষ্যে তোলা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইলিয়াছ হোসেন লিখেছেন, ‘নো ক্যাপশন! আপনারাই আবার দুর্দান্ত প্রগতিশীল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা চেনা যায়!’
আরও পড়ুনঃ করোনাকালীন সময়েও রাবিতে ভিসি বিরোধী ষড়যন্ত্র থেমে নেই
ছবিতে থাকা প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্যরা হলেন- সাবেক প্রশাসনের ছাত্রউপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা সহযোগি অধ্যাপক মশিহুর রহমান, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান মিলন, সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আসাবুল হক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একজন সিনিয়র সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, সবশেষ ডিন, সিন্ডিকেট নির্বাচনে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্যরা তিনভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। এদের একটি অংশ বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেয়। যার ফলে সিন্ডিকেট, ডিনসহ বিভিন্ন পদে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দলীয় প্রার্থীরা পরাজিত হয়। এই শিক্ষকের ধারণা- তখন ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে ছবিটি তোলা হতে পারে।
প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্য আরেক শিক্ষক জানান, ছবিটি অধ্যাপক এনামুল হক সাদা দলের আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত হওয়ায় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সময় তোলা।
আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে আপোষ করেন নি বলেই কী রাবি ভিসির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র?
তবে ছবিটি অধ্যাপক এনমুল হকের জন্মদিনে তোলা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ছবিটি দেখলেই বুঝবেন, এটি জুবেরি ভবনের শিক্ষক ক্লাব। সেখানে সব বিভাগ ও দল-মতের শিক্ষকরা বসেন। উনার (অধ্যাপক এনামুল হক) জন্মদিন ছিল, সৌজন্যতার খাতিরে আমরা শুভেচ্ছা জানিয়েছি। এর বেশি কিছু নয়।’’

সাবেক এই প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিএনপি-জামাত তোষণের অভিযোগ আনে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। সংবাদটি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় ১৯ এপ্রিল ২০১৫ তে প্রকাশিত হয়।
‘বিএনপি-জামায়াত তোষণ করছেন রাবি ভিসি’
আ’লীগের অভিযোগ
“স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মিজানউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির তোষণের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন খোদ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে ভিসির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, টাকার বিনিময়ে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের লোকজনকে বিভিন্ন দফতরে শিক্ষক ও কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ করা হয়। শনিবার দুপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুনঃ রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষীমহল প্রগতিশীলতার মুখোশ পড়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, বর্তমান উপাচার্য যোগদানের পর রাবিতে ১০ জন বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকের স্বজনদের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। যার মধ্যে চারজন ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত বলেও অভিযোগ করা হয়। এরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের জামায়াতপন্থী শিক্ষক রেজাউল করিমের শ্যালক ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের জামায়াতপন্থী শিক্ষক সালাম ভূইয়ার ভাতিজা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী ফয়সাল জামান, সাবেক ছাত্রশিবির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, ইংরেজী বিভাগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপাচার্যের নিজ গ্রামের সাবেক শিবির নেতা আসিউজ্জামান এবং উপাচার্যে ভাগ্নে সাবেক শিবির নেতা হাবিবুল্লাহকে ফোকলোল বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
এছাড়া বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাবেক উপাচার্য ফাইসুল ইসলাম ফারুকীর ছেলে নাঈম ফারুকী ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে, বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাবেক উপাচার্য আলতাফ হোসেনের মেয়েকে ভূগোল বিভাগে, বিএনপিপন্থী শিক্ষক সাফিউজ্জামানের (সাদা প্যানেলের সদস্য) স্ত্রী চৈতি অর্থনীতি বিভাগে, বিএনপিপন্থী শিক্ষক আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে তামজীদ হোসেন ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে, বিএনপিপন্থী শিক্ষক শহিদুর রহমানের মেয়ে রিদা খাতুনকে দর্শন বিভাগে এবং বিএনপিপন্থী অপর এক শিক্ষকের স্ত্রীকে রাবেয়া বসরীকে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
এছাড়াও উপাচার্য আঞ্চলিকতার কারণে জামায়াতপন্থী শিক্ষককে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শহীদ ফারুক হোসেনের বোনের চাকরি স্থায়ী করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গত ১৬ এপ্রিল বিএনপি ও জামায়াত-শিবির তোষণ, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম-দুর্নীতি সম্পর্কে প্রতিবাদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফারুকের বোনের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানাতে উপাচার্যে দফতরে গেলে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়। এ সময় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেনকে লাঞ্ছিত করেন। কিন্তু উপাচার্য তার অনিয়ম-দুর্নীতি আড়াল করার জন্য গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী সাত দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দেন নগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।”

সাবেক এই প্রশাসনের বিরুদ্ধে এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতির সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ জাতীয় অভিযোগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সকল মানুষের কাছে অশনিসংকেত। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব কিছু হতে পারে কেউ হয়ত কল্পনাও করেনি। এ সকল সংবাদ পড়ে প্রগতিশীল মানুষদের হৃদয় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়েছে। আমাদের স্বাধের স্বাধীনতা এভাবেই বিপন্ন হচ্ছে প্রতিনিয়ত ।
লেখক: মতিউর রহমান (মর্তুজা)
সম্পাদক, বাংলা প্রবাহ ২৪ ডটকম।
বাংলা প্রবাহ/এম এম
