
বাংলাদেশে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মুখোশ উন্মোচনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গত ২০২১ সালের ২২ মার্চ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে ‘মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’ গঠিত হয়। এই কমিশন দীর্ঘ নয় মাস তদন্ত করে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শিরোনামে দুই খণ্ডে একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন করেছে। এতে ২০১৬ সালের ০১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান হামলা থেকে শুরু করে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনাবলী এবং গত চার বছরে রোহিঙ্গা শিবিরে অপরাধ ও জঙ্গি কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়েছে। আলোচনা করা হয়েছে সারাদেশে ওয়াজের মাধ্যমে ওয়াজকারীরা কিভাবে সাধারণ ধর্মভীরু মানুষকে হিংসা-বিদ্বেষ ও জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করছেন। বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিবাদের কার্যক্রম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সে বিষয়েও শ্বেতপত্রে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
শ্বেতপত্রে যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে তার উপর বিশেষজ্ঞের মতামত, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের ভুক্তভোগীদের জবানবন্দী এবং এ বিষয়ে সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয় সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।

আগামীকাল ১২ মার্চ (২০২২) বিকাল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে ‘শ্বেতপত্র: বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’- প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আসাদুজ্জামান খান এমপি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন-এর সদস্য রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন এমপি, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ-এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সমাজকর্মী কাজল দেবনাথ, রিজিওনাল এন্টি টেররিস্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর নির্বাহী পরিচালক ও মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন-এর সদস্য মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.) এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ-এর নির্বাহী পরিচালক সমাজকর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর। এছাড়াও নির্মূল কমিটির নেতাকর্মী, গণকমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং গণকমিশনের সচিবালয়ের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
