

গলায় ফাঁস দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। নিহত শিক্ষার্থীর নাম সাদিয়া তাবাস্সুম। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের বিষমপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মাহবুব রশিদ ফারুকের মেয়ে।

মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে তার গ্রামের বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সোহেল কবির। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। এটা খুব হতাশাজনক। আমাদের একজন শিক্ষার্থী এভাবে মারা যাবে, আমরা ভাবতেও পারেনি। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে সঠিক কারণ বলতে পারছি না।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর আগে সাদিয়া তার বাবার ডায়েরিতে লিখেছে- ‘চুরাবালির মতো ডিপ্রেশন, বেড়েই যাচ্ছে, মুক্তির পথ নেই, গ্রাস করে নিচ্ছে জীবন, মেনে নিতে পারছি না।’
জানা যায়, মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা একটি জানাযায় অংশগ্রহণের জন্য যান। সেসময় তার মা’ও বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে সে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেন। দীর্ঘক্ষণ সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন। পরে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গৌরীপুর থানার উপ-পরিদর্শক মাইনুল রেজা জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
