
ডমিনিকায় বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টি-টুয়েন্টি ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। রোববার একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। মাঠ ভেজা থাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা পর শুরু হওয়া ম্যাচে বার বার হানা দেয় বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৪ ওভারে। সেটিও শেষ করা যায়নি আবহাওয়ার কারণে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ১৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৫ রান তোলার পর আরেক দফা বৃষ্টি নামলে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সময় সন্ধ্যার দিকে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে এলে রান তোলার গতি বাড়াতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা গেল উল্টো ছবিটা। ম্যাচ যতই ছোট হতে লাগল রান তোলার হারও কমতে লাগল। ১৩তম ওভারের প্রথম তিন বলে নুরুল হাসান সোহান দুটি ছক্কা মারলে বাংলাদেশের রান তিন অঙ্কে পৌঁছায়।
বৃষ্টির পর মাঠ ভেজা থাকায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। যে কারণে ম্যাচ নামিয়ে আনা হয় ১৬ ওভারে। পাওয়ার প্লে’র ৫ ওভারে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে তোলে ৪৬ রান। পরে অবশ্য রান তোলার গতি কমে যায়। ৭.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৬০ রান তোলার পর শুরু হয় বৃষ্টি।
পরে ইনিংসের দৈর্ঘ্য কমে আরও ২ ওভার। তবে বাংলাদেশ রানের গতি বাড়াতে পারছিল না মোটেও। উল্টো হারাতে থাকে উইকেট। নুরুল হাসান সোহানের ক্যামিওতে একশ পেরোয় সফরকারীরা। এ কিপার-ব্যাটার ১৬ বলে করেন ২৫ রান।
সাকিব আল হাসান ১৫ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রান তোলায় ভারসাম্য আনেন। এনামুল হক বিজয় ছিলেন আগ্রাসী। ১০ বলে করেন ১৬ রান। লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মন্থরতা ও মুনিম শাহরিয়ার, আফিফ হোসেনের নেমেই সাজঘরে ফেরা বাংলাদেশকে করতে দেয়নি প্রানবন্ত ব্যাটিং। বরং কোনঠাসা হয়েই থাকতে হয় বেশিটা সময়।
উইন্ডিজ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রোমারিও শেফার্ড। তিনি নেন তিন উইকেট। হেইডেন ওয়ালশ নেন দুই উইকেট।
বাংলা প্রবাহ/ সু
