অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ ৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছে

Ecare Solutions

আজ ১০ সেপ্টেম্বর (২০২২), স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ বাঘা যতীনের ১০৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১০টায় তাঁর জন্মস্থান কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া গ্রামের কয়া মহাবিদ্যালয়ে ‘বাঘা যতীন থিয়েটার, কয়া’র সহযোগিতায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কুমারখালী শাখার আয়োজনে এক নাগরিক সমাবেশের প্রধান বক্তার বক্তব্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহরিয়ার কবির একথা বলেন।

সমাবেশে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং কুষ্টিয়া-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য প্রদান করেন নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।

নির্মূল কমিটি কুমারখালীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ টি এম আবুল মনছুর মজনুর সভাপতিত্বে ও নির্মূল কমিটি কুমারখালীর যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মনিরা হোসেন মেরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য প্রদান করেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা কাজী মুকুল, কুমারখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব বিতান কুমার মণ্ডল, কুমারখালী নাগরিক পরিষদের সভাপতি জনাব আকরাম হোসেন, নির্মূল কমিটি কুমারখালীর সাধারণ সম্পাদক সমাজকর্মী মমতাজ বেগম, কয়া মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি এডভোকেট নিজামুল হক চুন্নু, কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মো: আলি হোসেন ও কয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জনাব হারুন-অর-রশীদ।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘ভারতবর্ষের বৃটিশ শাসনবিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রায় অন্ধকার মঞ্চের পাদপ্রদীপের নীচে যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের আবির্ভাব ছিল নাটকীয় এবং সময় ছিল প্রতিকূল। বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে গত শতাব্দীর প্রথম দশক থেকে দুটি ধারা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একটি নরমপন্থী, কখনও বা আপোষপন্থী; অন্যটি চরমপন্থী ও বিপ্লবী এবং এই উভয়ধারাই মূর্ত ছিল ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিতে। বিপ্লবীরা ‘অনুশীলন,’ ‘যুগান্তর’ প্রভৃতি দলের সঙ্গে সংযুক্ত থাকলেও এসব দলের বহু নেতা-কর্মী একই সঙ্গে কংগ্রেসেরও নেতা-কর্মী ছিলেন। চরমপন্থী বিপ্লবীরা বিশ্বাস করতেন- সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ভারতবর্ষকে ইংরেজ শাসন থেকে মুক্ত করতে হবে। প্রথম পর্যায়ে তাঁরা অবলম্বন করেছিলেন ডাকাতি করে অস্ত্র ও অর্থ সংগ্রহের পথ, দ্বিতীয় পর্যায়ে নিজেরা বোমা বানিয়ে বৃটিশ প্রশাসনের কুখ্যাত ব্যক্তিদের উপর হামলা চালিয়েছেন, যার হাত থেকে স্বয়ং ভাইসরয়ও রেহাই পাননি। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের এই অগ্নিগর্ভ পর্বের সিংহভাগ দখল করে রেখেছেন বাংলার বিপ্লবীরা। ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী থেকে আরম্ভ করে বাঘা যতীন, সূর্য সেন, প্রীতিলতা পর্যন্ত শত শত বিপ্লবীর আত্মদান শুধু ভারতবর্ষের স্বাধীনতাকেই অনিবার্য করে তোলেনি, একই সঙ্গে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত অপরাপর উপনিবেশের জনগণের মুক্তি সংগ্রামকেও অনুপ্রাণিত করেছে।’

শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, বাঘা যতীন, সূর্যসেন আর প্রীতিলতারা স্বাধীনতার বেদীমূলে নিজেদের জীবন দিয়ে ভারতবর্ষে যে সংগ্রামের সূচনা করেছিলেন তার চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখেছি বাংলাদেশে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসব্যাপী যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে অংশগ্রহণকারী শতকরা নব্বই ভাগ ছিলেন বয়সে তরুণ, স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গের প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন তাঁরা। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর স্বাধীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সূর্যসেনরা স্বাধীনতার যে সংগ্রাম আরম্ভ করেছিলেন, আমরা তা সম্পন্ন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘ভারতবর্ষকে স্বাধীন করবার জন্য নিয়মতান্ত্রিক অহিংস আন্দোলন যেমন হয়েছে, তেমনি সহিংস সংঘাত  ও  খন্ড খন্ড  যুদ্ধও  হয়েছে।  বাঘা যতীনের যুদ্ধ ও আত্মদান অনুপ্রাণিত করেছে লাহোরের ভগৎ সিং থেকে আরম্ভ করে চট্টগ্রামের সূর্যসেনদের। অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের সম্মিলিত আত্মত্যাগ অনুপ্রাণিত করেছে ’৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের। ’৭১-এর বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা যে  গেরিলা যুদ্ধে অপরিসীম সাহস, দক্ষতা ও আত্মদানের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ভারতবর্ষে তার সূচনা করেছেন ক্ষুদিরাম, বাঘা যতীন ও সূর্যসেনরা।’

‘বাঘা যতীনরা আমাদের শিখিয়েছেন মানুষের সমান অধিকার ও মর্যাদার জন্য কীভাবে লড়তে হয়, দেশের স্বাধীনতার জন্য কীভাবে জীবন বিলিয়ে দিতে হয়। স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামের মন্ত্র আমরা শিখেছি ক্ষুদিরাম, বাঘা যতীন, সূর্যসেন, প্রীতিলতাদের কাছ থেকে। আমাদের মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে অগ্নিযুগের বিপ্লবীরা সব সময় প্রেরণার অফুরন্ত উৎস হয়ে বিরাজ করবেন।’

প্রধান অতিথির ভিডিও বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একজন বিপ্লবী বাঘা যতীন। তিনি স্বাধীনতা চেয়েছিলেন, ঔপনিবেশ দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙতে চেয়েছিলেন, মানুষকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। গোপন সশস্ত্র বিপ্লবে তিনি যেভাবে ব্যক্তি পর্যায়ে এগিয়ে এসেছিলেন যেটি অন্য অনেকের মধ্যে দেখা যায়নি সেটা আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের অনুপ্রাণিত করেছিল। আজকে দুই বাংলার মধ্যে যে অকাট্য ইতিহাস তা নতুন প্রজন্মের মধ্যে তুলে ধরতে হবে কারণ এই ইতিহাসই প্রজন্মকে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি থেকে রক্ষা করবে। কুষ্টিয়ায় জন্ম নিয়ে কলকাতায় গিয়ে যে সশ্রস্ত্র কর্মকাণ্ড করেছেন পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি বিশ্বাসঘাতকদের কারণে তাঁর অকালপ্রয়াণ ঘটে।

‘আজকে যে স্বাধীনতা পেয়েছি, তাঁদের আত্মত্যাগের কারণেই পেয়েছি। তাঁদের আত্মত্যাগ ও আদর্শের কথা তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবো। আমরা যে অসাম্য, বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতা দেখছি যেগুলোর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। পাশের বাংলার অনেক প্রগতিশীল নেতারা সমাজে সাম্য আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বাঘা যতীনের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে বারংবার স্মরণ করবো। তাঁকে তরুণ প্রজন্মের কাছে নিয়ে যাব- এই প্রত্যয় ব্যক্ত করি।’

নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা কাজী মুকুল বলেন, ‘ভারতবর্ষে ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে যাঁরা সশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন, এই সংগ্রামে যাঁদের আত্মদান ইংরেজ শাসকদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে, দুশ’ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের ভিত্তিমূলে আঘাত করে স্বাধীনতা অনিবার্য করে তুলেছে তাঁদের অন্যতম বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, যিনি ‘বাঘা যতীন’ নামে বেশি পরিচিত। দেশমাতৃকার প্রতি গভীর ভালবাসা ও দায়বদ্ধতা, অপরিসীম সাহস ও শৌর্যবীর্য তাঁকে অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের প্রথম পংক্তিতে স্থান দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক সময় অতিবাহিত করছি যখন বাংলাদেশ সহ গোটা উপমহাদেশে মানবতার চিরশত্রু মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক অপশক্তি তাদের ভয়াল ফণা বিস্তার করে বার বার ছোবল দিচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মানবিক মূল্যবোধের উপর। স্বাধীনতার বেদীমূলে বাঘা যতীনরা নিজেদের জীবন দান করে দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের যে মশাল জ্বেলেছেন মানবতার চিরশত্রু মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে আমাদের সে মশাল বহন করে নিয়ে যেতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।’

মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘বাঘা যতীন শুধু একটি নাম নয়, একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি জীবন দিয়ে দেশপ্রেমিক হিসেবে প্রমাণ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন আলোচনার মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করতে না পেরে বাঘা যতীন, মাস্টারদা সূর্যসেন ও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর পথ বেছে নিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী সাফল্যও পেয়েছিলেন। এই বিপ্লবীদের কাছ থেকে কিভাবে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তা বঙ্গবন্ধু তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ধর্মীয় মৌলবাদী পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। এখনও সেই সাম্প্রদায়িক শক্তির ছায়া বাংলাদেশে রয়ে গেছে। তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। এই মৌলবাদী অপশক্তিকে ধ্বংস করতে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কুষ্টিয়া-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, ‘উনিশ শতকের শুরুতে বিপ্লবীরা যে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন তার প্রেরণা নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের সূচনা করেছিলেন। এই উপমহাদেশ বিপ্লবীদের চারণক্ষেত্র। মাস্টারদা সূর্যসেন থেকে শুরু করে বাঘা যতীনের পর বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি একটি দেশের সূচনা করে তাকে উন্নয়নের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করছিলেন ঠিক তখন স্বাধীনতাবিরোধীরা ও দেশবিরোধীরা তাকে পরিবারসহ হত্যা করে উন্নয়নের পথ রুদ্ধ করে দেয়। পচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী সেই অপশক্তি এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পথও রুদ্ধ করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ সারাবিশ্বের কাছে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে তখন পচাত্তরের সেই অপশক্তি উঠেপড়ে লেগেছে।  শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। ১৯ বার চেষ্টাও করেছে। আমরা তা আর হতে দেব না। এই অপশক্তির ষড়যন্ত্র আমরা যেকোনো মূল্যে রুখে দেব।’

বাঘা যতীনের মৃত্যুবার্ষিকীর আয়োজন করার জন্য নির্মূল কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কুমারখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘কয়া মহাবিদ্যালয়কে বাঘা যতীনের নামে করা যায় কিনা এ বিষয়ে প্রস্তাব করছি। এছাড়া এই বিপ্লবীর নামে একটি সড়ক নির্মাণ করার আহবান জানাই। এছাড়াও বাঘা যতীনের যে মূর্তি আমাদের এখানে রয়েছে তা ভেঙে গেছে। সেটি পুননির্মাণ করার প্রস্তাব জানাই্ উপস্থিত সবার কাছে।’

সমাপনী বক্তব্যে সমাবেশের সভাপতি নির্মূল কমিটি কুমারখালীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ টি এম আবুল মনছুর মজনু বলেন, ‘বাঘা যতীনের ৯৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আগে শাহরিয়ার ভাইয়ের অনুরোধে আমি কয়ায় বাঘা যতীনের বাড়ি খুঁজে বের করি। অনুষ্ঠানটি আমরা বড় করে করেছিলাম। ভারত থেকে বেশ কয়েকজন অতিথি এসেছিলেন। বাঘা যতীনের নামে কয়া মহাবিদ্যালয়ের নামকরণ করার ব্যাপারে আমাদের নির্বাহী কর্মকর্তাও আন্তরিক। আশা করি, শিগগিরই এর বাস্তবায়ন হবে।’

সমাবেশের আগে ‘বাঘা যতীন থিয়েটার, কয়া’ ও  একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কুমারখালী শাখা যৌথভাবে বাঘা যতীনের মূর্তিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে। এসময় মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, কুমারখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব বিতান কুমার মণ্ডল, নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা কাজী মুকুল, নির্মূল কমিটি কুমারখালীর সাধারণ সম্পাদক সমাজকর্মী মমতাজ বেগম ও  নির্মুল কমিটি কুমারখালীর যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মনিরা হোসেন মেরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Ecare Solutions
শর্টলিংকঃ