

মো.রিয়াদুল ইসলাম
ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) সাবেক তিন শিক্ষার্থী। নিয়োগ পাওয়া তিনজনের দুইজন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং(সিএসটিই) বিভাগের ও বাকিজন ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশন সায়েন্স(এফটিএনএস) বিভাগের শিক্ষার্থী।

নিয়োগের বিষয়টি বাংলা প্রবাহকে নিশ্চিত করেছেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জান্নাতুল মাওয়া কলি, আকিবুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সুলতান নয়ন।
জানা যায়, কুমিল্লার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া কলি সিএসটিই বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী, আকিবুল ইসলাম এফটিএনএস বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশন ও নোবিপ্রবির ১১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তার বাড়ি চট্টগ্রাম। নিয়োগপ্রাপ্ত আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সূলতান নয়ন সিএসটিই বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী।
শিক্ষক পদে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত আকিবুল ইসলাম অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, যখন থেকে আমি খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়, তার পর থেকেই ইচ্ছা ছিল ভবিষ্যতে এই সম্পর্কে কাজ করব। পরে আস্তে আস্তে শিক্ষকতা পেশা ভাল লাগে। পরে নিজেকে সবসময় গবেষণাকে নিয়ে চলার চেষ্ঠা করছি। এক কথায় বলতে গবেষণায় নিজেকে যুক্ত রাখার জন্য শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হওয়া সহজ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জুনিয়রদের কাছে আমার বলার থাকবে যারা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চায়, তাহলে যখন থেকে সম্ভব গবেষণা করা।আর জুনিয়রদের জন্য আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করব যাতে ভবিষ্যতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলাতে যেন আমাদের থেকে আসার জন্য।
শিক্ষক হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে মোহাম্মদ সূলতান নয়ন বলেন, শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় কর্মজীবন শুরু করার সুযোগ পাওয়াতে মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। ভার্সিটি লাইফ থেকে স্বপ্ন ছিল শিক্ষকতার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার, সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, সহপাঠী, সিনিয়র এবং জুনিয়রদের প্রতি।
তিনি আরো বলেন, জুনিয়রদের প্রতি আমার উপদেশ থাকবে তারা যেন নিয়মিত পড়ালেখার সাথে থাকে, রেজাল্টের প্রতি সতর্ক থাকে, সেই সাথে লাইফের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলে এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে এখন থেকে কাজ শুরু করে। আর ভার্সিটিতে বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালা গুলোতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে।
জান্নাতুল মাওয়া কলি বলেন, আসলে আমার আব্বু আম্মু দুজনেই শিক্ষক। আত্মীয় স্বজন অনেককেও দেখেছি এই পেশায়। তখন থেকেই একটা ফ্যান্টাসি কাজ করতো। সেই দশম শ্রেনীতে যখন পড়তাম তখনই জীবনের লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হবো। তখন এটাও জানতাম না প্রফেসর হওয়ার জন্য কি যোগ্যতা লাগে। জীবনের স্বপ্ন পূরন হওয়ার অনুভূতি আসলে সবসময়ই অবিশ্বাস্য মনে হয়, তেমনটাই লাগছে।
তিনি আরো বলেন, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়রদের এটাই বলবো যে আমি মনে করি লক্ষ্য যদি স্থির থাকে, নিজের চেষ্টা আর আল্লাহর দয়ায় চাইলে সবকিছুই সম্ভব। যে যা ইচ্ছা বলুক, যত ধরনের খারাপ কথা কানে আসুক না কেন, প্রতিবন্ধকতা আসুক না কেন, সব বাদ দিয়ে নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকলে একসময় ঠিকই সব সুন্দর হবে।
