অধ্যাপক কবীর চৌধুরী জন্মশতবার্ষিকীতে নির্মূল কমিটির আলোচনা সভা আগামীকাল

Ecare Solutions

৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জামায়াতে ইসলামীর মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে ৩১ বছর আগে শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যে অভূতপূর্ব নাগরিক আন্দোলন সূচিত হয়েছিল এর প্রধান নেতাদের অন্যতম অধ্যাপক কবীর চৌধুরী (১৯২৩-২০১১)। মৃত্যুর পূর্বে দীর্ঘ ২০ বছর তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন ’৭১-এর ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং তাদের মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের আন্দোলনে। ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা গোলাম আযমের বিচারের জন্য যে ঐতিহাসিক গণআদালত বসেছিল, তার অন্যতম বিচারক ছিলেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের দাবিতে আমাদের আড়াই শতাধিক আলোচনা সভা ও জনসমাবেশে পৌরহিত্য করেছেন তিনি, নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজপথের মিছিলে─ আমৃত্যু একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেছেন, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র সহ অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

এবছর বাংলাদেশের প্রগতিশীল নাগরিক আন্দোলনের পুরোগামী নেতা বরেণ্য শিক্ষাবিদ লেখক অধ্যাপক কবীর চৌধুরী জন্মশতবার্ষিকী।

এ উপলক্ষে আগামীকাল ০৯ ফেব্রুয়ারি (২০২৩) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত, নৃত্যকলা ও আবৃত্তি মিলনায়তনে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা, আলোচনা সভা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা প্রদান করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাট্যকার মামুনুর রশীদ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।

উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করবেন ‘ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট’-এর সাম্মানিক সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি যাত্রাভিনেতা, পালাকার ও নির্দেশক মিলন কান্তি দে, সুরের ধারার সভাপতি সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত-নৃত্য পরিবেশন করবেন নৃত্যশিল্পী তামান্না রহমান ও নৃত্যম নৃত্যশীলন কেন্দ্র-এর শিল্পীবৃন্দ এবং কবীর চৌধুরীর কবিতা পাঠ করবেন আবৃত্তিশিল্পী মোঃ শওকত আলী।

আলোচনা সভার পর অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে সাইফউদ্দিন রুবেল পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র ‘নাই বা হলো পারে যাওয়া’র উদ্বোধনী প্রদর্শনী।

Ecare Solutions
শর্টলিংকঃ