সংঘর্ষে ইটপাটকেলের আঘাতে চোখ হারানোর পথে নোবিপ্রবির তামির

Ecare Solutions

রিয়াদুল ইসলাম,নোবিপ্রবি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী তামির চৌধুরী চোখ হারানোর পথে। দুপক্ষের সংঘর্ষে তার চোখের নিচে ইট পড়ে জখম হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মার্চ (বুধবার)বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিনিকেতন এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সিনিয়র-জুনিয়র বেঞ্চে বসাকে কেন্দ্র দুই গ্রুপের একাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের অনুসারীরা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত করতে ব্যর্থ হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম ও হল কর্তৃপক্ষ। থেমে থেমে ঘটনার দিন রাত ৯ টা পর্যন্ত দুই গ্রুপ দুইয়ের অধিক বার সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় তামির চৌধুরীর চোখে ছোঁড়া ইটের আঘাত লাগে। তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হসপিটালে নেওয়া হলে সেখান থেকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী চক্ষু হসপিটালে স্থানান্তর করা হয়।

পরবর্তীতে ইস্পাহানি চক্ষু হাসপাতাল সহ রাজধানী ও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তামির। তার চোখের রেটিনায় ছিদ্র ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি এখনো চোখে ঝাপসা দেখছেন। চোখের অবস্থা করুণ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

তামির বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী এবং শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রার্থী মোহাইমিনুল ইসলাম নুহাশের অনুসারী। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে নুহাশ বলেন, তামির আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পরপরই আমরা তাকে হসপিটালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এ পর্যন্ত চিকিৎসায় সার্বক্ষণিক পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এখন পর্যন্ত তার চিকিৎসায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। আমাদের সাধ্যমত আমরা তার পাশে থাকার চেষ্টা করছি। সামনে দেশের বাহিরে চিকিৎসা নিতে গেলে প্রায় চার লক্ষ টাকা গুনতে হবে তাকে।

তামির বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্ট আকর্ষণ করেন ছাত্রলীগ নেতা নুহাশ। এছাড়াও তিনি জানান, এ পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যয়ে সহায়তা দিয়ে পাশে থেকেছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু।

এই শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাবে কিনা জানতে চাইলে নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, যেকোন শিক্ষার্থী চিকিৎসা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ ফান্ড থেকে সহযোগিতা চাইতে পারে। এর আগেও আমরা শিক্ষার্থীদের এই ফান্ড থেকে সহযোগিতা করে এসেছি। চক্ষু চিকিৎসা ব্যয়ে তামির নিয়মানুযায়ী সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি বিবেচনা করবে বলেও জানিয়েছেন নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ।

Ecare Solutions
, ,
শর্টলিংকঃ